পটুয়াখলীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে এক পরিচিত নাম। যেখানে দাঁড়িয়ে একসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাইতো পর্যটকের কাছে কুয়াকাটা পছন্দের একটি জায়গা। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সৈকতে পর্যটকের আগমন ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে আগত পর্যটকরা স্নিগ্ধ সৈকতে আনন্দ-উল্লাসে মেতে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট এলাকায় পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে হই-হুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে প্রিয়জনকে নিয়ে সেলফি তুলে স্মৃতির পাতায় রেখে দিচ্ছেন।
অনেকে সৈকতের বিভিন্ন বাহনে চড়ে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দেখছেন। কেউবা আবার বেঞ্চে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
অনেকে স্পিডবোট ও ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সৈকতে। এদিকে গঙ্গামতি, লেম্বুর বন, ঝাউবন ও শুঁটকি পল্লীসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি। আগতদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ হোটেল-মোটেল। নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে আসা পর্যটক আশা মনি বলেন, এলাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুয়াকাটায় এসেছি। এটি অনেক সুন্দর একটি জায়গা।
খুলনা থেকে আশা মাহফুজা মৌ বলেন, কুয়াকাটা নিঃসন্দেহে একটি সুন্দর জায়গা, ঈদুল ফিতরের বন্ধে এসে গেছি। অনেক ভালো লেগেছে। তাই বৃহস্পতিবার রাতেই মেয়েকে নিয়ে আবার এসেছি, সকালে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছি। সূর্যোদয় দেখছি, বিকেলে সূর্যাস্তসহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরবো।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন কালবেলাকে বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার আমরা প্রস্তুত আছি। গোসলের সময় পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার না হয় সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো পোশাক পরিহিত ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
মন্তব্য করুন