সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের নির্মাণ করা ১৫টি দোকানঘর উচ্ছেদের দাবিতে মাবনবন্ধন করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাসহ স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের বড় পোওতা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বড় পোওতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থানে বর্তমান ১৫টি অবৈধ দোকানঘর আছে। গ্রামের শিশু-কিশোর, যুবক ও বড় পোওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে খেলার মাঠের জায়গা নির্ধারণ করে আমরা মাটি ভরাটও করেছিলাম। কিন্তু গত ১৪ বছরে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী তা দখল করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে ছোটখাটো বাজার গড়ে তুলেছেন। প্রকল্পের জায়গা থেকে দোকানঘর উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শেফালী খাতুন বলেন, এখানে বিভিন্ন দোকানে চা স্টলে সিডি-টিভি উচ্চশব্দে চলে। অনলাইন জুয়া, টাকা দিয়ে ক্যারম, লুডু খেলা চলে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে উচ্চস্বরে গান-বাজনা, যে কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত আশেপাশের বাসিন্দা ও পোওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
পোওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান ফারসি, মারজিয়া ও রহমত আলী বলে, দোকানের টিভির শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিতে সমস্যা হয়। স্যারদের কথা ঠিকমতো শুনতে পাই না।
প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সাহা বলেন, স্কুলের পাশে বাজার থাকলে অনেক সমস্যা হয়। যদিও সরকারি নির্দেশনায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে কোনো দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না; কিন্তু এখানে আছে। যাতে শিক্ষার ক্ষেত্রে চরম ব্যাঘাতও ঘটে।
দোকানদার আব্বাস আলী নামে একজন বলেন, গ্রামে ব্যবসা করার মতো তেমন ভালো জায়গা নেই। আর আমাদের পরিবারের সদস্যদের রুজির জন্যই ব্যবসা করি। উচ্ছেদ কাম্য নয়। বারুহাঁস ইউনিয়ন
ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমন হায়দার কালবেলাকে বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন উপজেলা সহকারী কমিশনের (ভূমি) অফিসে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন