পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শিল্প কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া জলাধার ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্প কারখানার ব্যবহৃত পানি রিইউজ করতে বাধ্য করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুর শহরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে নদী ও জলাভূমি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
এসময় উপদেষ্টা রেজওয়ানা বলেন, আমরা ঢাকার ৪টি নদী দখল দূষণমুক্ত করার চুক্তি করে কর্মপরিকল্পনা দিয়ে যাব। কারণ এগুলো আমাদের সময় করতে পারব না। তবে আমাদের সময়ের মধ্যেই তুরাগ নদীর পুনরুদ্ধার শুরু হবে। গাছা খাল, লবণদহ, পুকুর উদ্ধার ও ৮ আগস্টের পর দখল হওয়া ও ঝামেলা কম এমন দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধার, এই কয়েকটি কাজ আমরা আগে শেষ করি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যেসব বনভূমি দখল হয়েছে সেখানে আইনী জটিলতা নেই সেগুলোর আগে উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া যেসব বনভূমিতে আইনি স্থিতিবস্থা নেই, স্থগিতাদেশ নেই সেগুলোকে টার্গেট করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তবে কাজটি যতটা সহজ মনে হয় ততটা নয়। কারণ এর সঙ্গে প্রভাবশালীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক ও নদীপক্ষের যৌথ আয়োজনে সিম্পোজিয়ামের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নদী নিয়ে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন।
এসময় নদী ও জলাভূমি সিম্পোজিয়াম থেকে ১৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেটির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. জাবের সাদেক, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানীকারক সমিতিরি সভাপতি মো. রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ।
মন্তব্য করুন