সুন্দরবন থেকে হরিণের চামড়া-মাথাসহ গ্রেপ্তার দুই শিকারিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক বিলাস মন্ডল এ আদেশ দেন।
সোমবার (২৬ মে) সকালে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া আহরণের সময় ওই দুই শিকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বন বিভাগের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিক মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- বাগেরহাটের মোংলার উওর চাঁদপাই এলাকার সুলতান খানের ছেলে মামুন খাঁন (৩৫) এবং একই এলাকার আক্তারের ছেলে আ. রহিম (২১)।
জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থাকা দুটি নৌকা তল্লাশি করে ৪০ কেজি কাঁকড়া, ২১টি চারু, সোলার প্যানেল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে একটি গাছে ঝুলানো অবস্থায় রাখা একটি হরিণের চামড়া ও ৩টি শিং ওয়ালা হরিণের মাথা উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হরিণের মাংসগুলো পচে গেছে। চামড়া ও মাথা জব্দ করেছি। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গেল ১৫ দিনে ১০০ কেজি ফাঁদ ও ৫২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণ শিকার বন্ধে বনবিভাগ টহল জোরদারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। হরিণ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে, আমরা বনজীবীদের প্রণোদনা ব্যবস্থা করেছি। কোনো বনজীবী যদি এক কেজি হরিণ শিকারের ফাঁদ ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে ২ হাজার টাকা প্রণোদনা দিচ্ছি। সুন্দরবন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন