গলব্লাডারে বা পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ। অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেন না যে, তারা এই সমস্যায় ভুগছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পেটের হালকা ব্যথাকে সাধারণ সমস্যা ভাবা হয়, তাই অনেকেই স্রেফ পেট ব্যথার সাধারণ ওষুধ খেয়ে চলেন। কিন্তু এতে কার্যকারিতা কম এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। পিত্তথলির পাথর যদি ছোট হয়, তা প্রায়ই নিজে থেকেই গলে যায় বা অন্ত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তবে বড় পাথর বা আটকে যাওয়া পাথরের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। হ্যাঁ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঘরোয়া টোটকা মানলে অপারেশন ছাড়াই এই পাথর (ছোট পাথর) কমানো বা গলানো সম্ভব। চলুন জেনে নিই টোটকাগুলো—
গোটা শস্য ও ফল
নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় গোটা শস্য, ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন। এটি পিত্তথলির পাথর গলাতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথাও কমায়।
পানি
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানি যত বেশি পান করবেন, পাথর তত দ্রুত বের হবে। চাইলে কমলা বা লেবুর রসও মিশিয়ে পান করতে পারেন, যা শরীরের জন্যও উপকারী।
সাইট্রাস ফল
পিত্তথলিতে পাথর থাকলে অনেকের পেটে ব্যথা হয়। সাইট্রাস ফল নিয়মিত খেলে পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে ব্যথা খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
দই, সয়াবিন, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, নানা ধরনের বীজ—এসব ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং পিত্তথলির পাথর গলাতেও সাহায্য করে।
নুনজাতীয় ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
নুন, চকোলেট, পালংশাক, খাসির মাংস ইত্যাদি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে চর্বিহীন খাবার বেছে নিন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন বেশি হলে পিত্তথলিতে পাথর কমানো কঠিন হয়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
হলুদ
হলুদে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা পেটের যে কোনো সমস্যা ও পিত্তথলির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
বেরি
বেরি বা বেরির জুস ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে পিত্তথলিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে। তবে, সমস্যায় ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ঘরোয়া এই টোটকাগুলো নিয়মিত মানলে পিত্তথলির পাথর কমাতে ও গলাতে সাহায্য পাওয়া সম্ভব। তবে, সমস্যা গুরুতর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মন্তব্য করুন