ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বিদ্যমান থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলসমূহে গুপ্ত ছাত্ররাজনীতির প্রতি অনীহা দেখিয়েছেন। গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি বন্ধে তারা কাজ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সচেতন ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আছি।’
আশা ব্যক্ত করে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘শনিবারের (১৬ আগস্ট) মধ্যেই হয়তো ক্যাম্পাসে গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। হলে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ঢাবি ক্যাম্পাসের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হতে আমরা আপডেট পাব।’
শিবিরের সমালোচনা করে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে হলগুলো দখল করেছিল, ছাত্রশিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হলগুলো সেভাবে দখল করে নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কারা সাইবার বুলিং করছে, গুপ্ত ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে এবং অপসংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি বলেই ১৫০-এর বেশি ছাত্রলীগের কর্মীরা ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ঢাবি শাখার নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া নারী শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বুলিং বা হেনস্তা করা হচ্ছে, তার অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা আজকে জানতে চেয়েছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ১ ও ২’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংসদ-১-এর পরিচালক সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের একজন নেতা এবং শিক্ষার্থী সংসদ-২-এ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। যা এখনো পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। এসব বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এ ছাড়াও উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য ও প্রক্টরকে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী যেভাবে হয়রানি করে, তা অভিভাবকসুলভ আচরণ নয়; আমরা সে বিষয়েও মতামত দিয়েছি।’
মন্তব্য করুন