চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে পাঁচজন নিহতের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে বাকলিয়ায় জোড়া খুন, হত্যার হুমকির মামলা রয়েছে।
সোমবার (০২ জুন) দুপুরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। গত ১০ মে তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের জুলাই-আগস্টে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় গুলিতে মারা যান হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, মো. মাহিন, তানভীর সিদ্দিকী, শহীদুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি। এই ঘটনায় করা পৃথক পাঁচ মামলায় তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
আবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা ও গুলি চালায়। এসব ঘটনায় আসামিদের লোকজন ও অস্ত্র সরবরাহে তামান্না জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, নগরের চান্দগাঁও থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার মামলায় তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছুড়ে সাজ্জাদকে জামিনে ছাড়িয়ে আনার হুমকি দিয়েছিলেন তামান্না।
এরপর গত ৩০ মার্চ ভোর রাতে ধাওয়া করে প্রাইভেটকার থামিয়ে দুই জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতজনের নাম দিয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনায় খুনের ওই ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন