জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। বিচার বিভাগের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এবং নির্বাচন কমিশনের। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তবে তার পূর্বে নির্বাচনকালীন সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে, দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে, মৌলিক সংস্কারের দৃশ্যমান অবস্থা আমরা দেখতে চাই।
সোমবার (০৯ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সমন্বয়ক তানভিরুল বারি নয়নসহ এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সারজিস-হাসনাতরা স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ফুটপাতের একটি দোকানে চা পানসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখে এসেছি, নির্বাচনকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকা, বেশি শক্তির অপব্যবহার করা হয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখতে চাই। কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়। বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে শুরু করে এলাকায় দেখেছি ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট চুরি, এমন ঘটনাগুলো আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে যেন না দেখি। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে ততটুকু পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়াগুলো যদি একটি সুন্দর পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের জায়গা থেকে দ্বিমত থাকবে না।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সফর সাংগঠনিক অফিসিয়ালি না হলেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, কুশল বিনিময়ের জন্য তাদের কাছে যাওয়া, সংগঠকদের সঙ্গে আমাদের বসতে হয়। সেই জায়গা থেকে আমাদের আজকে এখানে আসা। এভাবে আমরা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় যাচ্ছি, মতবিনিময় সভা বা জনসভার মত হবে। সংগঠকদের নিয়ে খুব ছোট পরিসরে হবে। এটা অফিসিয়ালি না। তবে আমাদের সংগঠনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশে ফেরা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তাদের যারা এমন দোসর ছিল, যারা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠায় সহযোগিতা করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসেবে ছিল। তাদের সামগ্রিক বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আমরা কঠোর হস্তক্ষেপ চাই এবং এটা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেন হয়। আমরা এই বিষয়গুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের সামগ্রিক পদক্ষেপ কি নিচ্ছেন, আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, তারা অন্তত এই সকল প্রশ্নে তাদের জায়গা থেকে তাদের শক্ত অবস্থান সবসময় তাদের কাজের মাধ্যমে ব্যক্ত করবেন।
মন্তব্য করুন