ঈদের ছুটি শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এর প্রভাবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়। এবার ২০টি লঞ্চ ও ছোটবড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এতে পর্যাপ্ত লঞ্চ-ফেরি থাকায় দৌলতদিয়ায় অপেক্ষা বা ভোগান্তি ছাড়াই স্বাভাবিক সময়ের মতোই পদ্মা পার হচ্ছেন কর্মস্থলগামী মানুষ।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ-ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
ঘাটসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়।
মেহেরপুর থেকে আসা যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠেছি কোনো যানজট নেই। কুষ্টিয়া থেকে আসা মোছা. আলেয়া বেগম আরেক যাত্রী বলেন, আমি বাচ্চাদের নিয়ে প্রাইভেটকারে সোজা ফেরিতে উঠেছি কোনো সমস্যা হয়নি।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন কালবেলাকে বলেন, যাত্রীদের চাপ আছে, তবে উপচেপড়া ভিড় নাই। গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। ২০টি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা এসেই পার হতে পারছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে কোনো প্রকার যানজট বা ভোগান্তি নেই। বহরে থাকা ১৭টি ফেরি চলাচল করায় ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহন ভোগান্তি বা অপেক্ষা ছাড়াই সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। ধারণা করা হচ্ছে দুপুরের পর যানবাহনের চাপ বাড়বে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার যানবাহন পার হয়েছে। বতর্মানে এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন