মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইলিশের খোঁজে ছুটেও ভাগ্য সহায় হয়নি জেলেদের

খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুপাশে নোঙর করা শত শত ট্রলার। ছবি : কালবেলা
খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুপাশে নোঙর করা শত শত ট্রলার। ছবি : কালবেলা

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শিকারে বাধা বৈরী আবহাওয়া। এতে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুপাশে নোঙর করে বসে আছেন শত শত ট্রলার। সামুদ্রিক মাছ শিকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই বৈরী আবহাওয়া হতাশা নিয়ে ঘাটে রয়েছেন জেলেরা।

সামুদ্রিক মাছ আহরণের উপর সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার রেষ কাটিয়ে উঠলেও বৈরী আবহাওয়া ইলিশ শিকারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বারবার লোকসান গুনছেন উপকূলের জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের খোঁজে ছুটেও ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। বর্তমানে অলস সময় পার করছেন জেলেরা। হাঁকডাক বিহীন শুনশান নীরবতা জেলে পল্লীতে।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। এতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সরকারি তেমন প্রণোদনা পাননি জেলেরা। কোনো কোনো জেলে পরিবারের ঈদের আনন্দ ম্লান করেছে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার পরে বৈরী আবহাওয়া এ যেন মড়ার উপর খঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মায়ের দোয়া বোটের মাঝি কলিম জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আমরা অবরোধ শেষে সাগরে যেতে ২ দিনের মধ্যে আবার আবহাওয়াজনিত কারণে ফিরে এলাম। কোনো ইলিশের দেখা পাইনি, তেল এবং বাজারের টাকা লস হয়ে গেল।

জেলে মোস্তফা হাওলাদার বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বৈরী আবহাওয়া, ঘন কুয়াশা, সরকারের দুই ধাপের অবরোধ সব মিলিয়ে কিছুদিন মাছ ধরার সময় পাই, তবে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। মাঝি, জেলে, আড়তদাররা প্রতিনিয়ত ধার-দেনায় জর্জরিত হচ্ছেন।

আলিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি জলিল ঘরামী বলেন, বিগত বছরগুলোতে তেমন ইলিশের দেখা পাইনি। কয়েক বছর দেনার বোঝা বেড়েই চলছে। ৪-৫ লাখ টাকা বাজার নিয়ে ট্রলার সমুদ্রে পাঠাই, এসে বিক্রি করে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। কখনো শূন্য হাতে ফিরে আসে, প্রত্যেকটি ট্রিপে দুই-তিন লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা দাদন দেওয়ায় এ পেশা পরিবর্তন করতে পারছি না।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সমাধান জানালেন পুতিন

বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল গ্রেপ্তার, শিক্ষক-সাংবাদিকদের উদ্বেগ

জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না : বুলবুল

ঢাকার ডিএনসিসিতে শুরু হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট 

অবশেষে ঢাকার জেলা জজ বদলি

আমেরিকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইসরায়েল

সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াল ইউরোপের ৯ দেশ

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে অলআউট করে ম্যাচ জিততে চায় লঙ্কানরা

এবার স্থানীয় নির্বাচনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

১০

ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন খামেনি

১১

খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১২

গলে পাঁচ উইকেট শিকারের দিনে আত্মবিশ্বাসী নাঈম, জয়ের আশায় বাংলাদেশ

১৩

বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রার ৬ যাত্রী নিহত

১৪

যুক্তরাষ্ট্রে ভোট জালিয়াতির ঘটনায় দুই বাংলাদেশির কারাদণ্ড

১৫

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স রোববার

১৬

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার আটক

১৭

কালবেলায় সংবাদের পর ভুল সংশোধন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের

১৮

ইরানের বিরুদ্ধে নতুনভাবে হামলা শুরু ইসরায়েলের

১৯

হলুদ শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজ, খোলা চুলে ভাইরাল মিথিলা

২০
X