বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপি কচু পাতার ওপর পানি না যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে। বিএনপি হিমালয়ের মতো শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি দল। জনগণের ভেতরে এ দলের শেকড়। বিএনপি সম্পর্কে অপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দুটি ইসলামী ও একটি নবীন দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপ্রচার এবং আবার নির্বাচন প্রলম্বিত করতে যড়যন্ত্র করছে। নবীন দলের কেউ কেউ আগামী নির্বাচনে ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসন নিজেদের দখলে রাখার আর বিএনপিকে ছাড় দিয়ে ৫০ থেকে ১০০ আসন দেবার কথা বলছেন। তাদেরকে বলব, এতই যখন আত্মবিশ্বাস, আর দেরি না করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে বলুন। জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করুন, দেখুন জনগণ কী চায়।
তিনি আরও বলেন, এক কাউয়া পালিয়ে গেছে, আরেক কাউয়ার দেখা মিলেছে। পাগলের সুখ মনে মনে। যারা জীবনে ভোট দেয় নাই, জনগণের কাছে ভোট চায়নি, তারা কিনা ভোট ও রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক করে। কী সেলুকাস, বিএনপি অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে কথা বলে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস দিয়ে কেউ কেউ বলছেন ধানের শীষ নাকি মানুষ চেনে না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ধানের শীষ মানুষ চেনে কী না, তা আগামী নির্বাচনই বুঝতে পারবেন। পরিস্থিতি অহেতুক উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করতে তারা গরম গরম ও হিংসাত্মক বক্তৃতা দিচ্ছে। বিএনপি সেই ফাঁদে পা দেবে না।
প্রিন্স বলেন, নির্বাচনকে প্রলম্বিত ও অনিশ্চিত করার যড়যন্ত্র এখনো শেষ হয় নাই। যারা লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ফলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের টাইম লাইন নির্ধারণে খুশি হতে পারে নাই। নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে এ আশঙ্কা তারা সমস্বরে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত এবং একই সঙ্গে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, দলের সংখ্যা নয়, বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপি যে কোনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা তার বড় প্রমাণ। বিএনপি জনগণের পালস বুঝে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেয় এবং যৌক্তিক যে কোনো বিষয় সাদরে গ্রহণও করে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কয়েকটি দল বিএনপির বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। ভোগ নয়, ত্যাগ ও নিঃস্বার্থ জনসেবার মানসিকতা নিয়ে নেতাকর্মীদের রাজনীতি করার আহ্বান জানাই। ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার হিসাব কষলে রাজনীতিতে সফল হওয়া যাবে না।
ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিকের সঞ্চালনা কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, সোলায়মান সরকার আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, জাকিরুল ইসলাম টোটন।
আরও বক্তব্য রাখেন, গাজিউর রহমান, হুমায়ূন কবীর সরকার ,আবদুল মোমেন শাহীন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী হোসেন, জামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বাদশা, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, জেলা যুবদল নেতা নয়ন মিয়া, উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহ।
ধোবাউড়া কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মামুন হাসান, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রিপন হাসান, যুবদল নেতা বাবুল মিয়া, মোশারফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, সবুজ খান, গোলাম রব্বানী, ইমন মিয়া, শওকত হাসান।
মন্তব্য করুন
আর্কাইভ 
| ২৫ জুন ২০২৫ 
