সিলেটে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পলাতক প্রদীপ রায়কে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জের আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে নগরীর সুবিদবাজারের লন্ডনি রোডের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিরাইয়ের আলোচিত কয়েকটি মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপ রায় সিলেটে আত্মগোপনে ছিলেন। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনতা আটক করে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
জানা যায়, প্রদীপ রায় বিগত ১৫ বছর দিরাই শাল্লায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নানা ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমালোচিতও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর প্রদীপ রায় ও তার ভাই আত্মগোপনে ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় প্রদীপ রায়কে আসামি করা হয়। তবে পুলিশের চার্জশিটে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দিরাইয়ের ভাটিপাড়া জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায়ও প্রদীপ রায় আসামি। ৫ আগস্টের পর দিরাই ও সিলেটে তিনি আরও পাঁচটি মামলার আসামি।
জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায়কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৭টি মামলা রয়েছে। জলমহাল দখল নিয়ে হত্যা মামলাও রয়েছে। বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করবে।
মন্তব্য করুন