গাজীপুরে আলাদা স্থানে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্কুলের দপ্তরি ও অপরজন একটি কারখানার সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার কীর্তুনিয়া গ্রামের আরিফ হোসেন (৩২)। তিনি স্থানীয় ইউসুফ আলী ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। অপরজন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার ফুলবাড়ী এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৮)। তিনি আমবাগ এলাকায় গাজীপুর ফিড মিলের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকায় মাসুদ রানার ৫তলা ভবনের ৪তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রফিকুল ইসলাম। রোববার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন মোবাইলে ফোন করলে রফিকুল ইসলামকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তার অফিসের লোকজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের কল করে বিষয়টি জানানো হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে সহকর্মীরা রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় গিয়ে তার ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। এ সময় তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্ল্যাটের ভেতর রফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে দিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। নিহতের মাথা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে দপ্তরি আরিফ হোসেন স্কুলের বাইরে যান। বাইরে যাওয়ার পর স্কুল গেইটের কাছে একটি দোকানে বসা ছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ পেছন দিক থেকে তাকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত আসাদুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে সিএনজি চালকের ছুরিকাঘাতে আরিফ হোসেন নিহত হয়েছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন