কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্র থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্ত ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে গভীর সাগরে ভেসে ছিল ‘হাবিবা’ নামক ওই মাছ ধরার ট্রলারটি। এক সপ্তাহ আগে ভোলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে ট্রলারটি সাগরে গিয়েছিল।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ সাগরে নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী দ্বীপ থেকে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পায়। এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত দেয়। পরে নৌবাহিনীর জাহাজটি ভাসতে থাকা ট্রলারের কাছে ছুটে যায়।
ট্রলারটির কাছে পৌঁছার পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা দেখা দেয়। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেসহ ট্রলারটিকে বুধবার দুপুরে নিরাপদে কুতুবদিয়া দ্বীপ এলাকায় নিয়ে যায়।
এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষার জন্য এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌসদস্যরা জানতে পারেন, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশে এক সপ্তাহ আগে সাগরে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিত করার মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপকূলীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন