বরগুনার আমতলীতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি মনির হোসেনকে প্রকাশ্যে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন কথিত ঠিকাদার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্য। এ সময় তিনি তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
এতে সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিক নেতারা হুমকিদাতাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড পুরান বাজার অনিমেষ কুন্ডের চায়ের দোকানে তিনি এ হুমকি দেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম মো. মোজাম্মেল গাজী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মনির হোসেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) আমতলী শাখার সভাপতি।
খবর নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ হাট বরগুনার আমতলী পৌরসভার পুরান বাজারে মূল সড়ক দখল করে মুরগির বাজার বসাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জনদুর্ভোগ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট দেন কালবেলার আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন।
ভিডিওটি দেখে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য কথিত ঠিকাদার মোজাম্মেল গাজী গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রকাশ্যে মনির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এতে মনির হোসেন প্রতিবাদ করলে মোজাম্মেল গাজী তাকে এলাকাছাড়া করাসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মনিরুল।
আমতলী প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি নাসির মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, সাংবাদিক সত্য প্রকাশ করবেই! তাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক! তদন্ত সাপেক্ষে হুমকিদাতা মোজাম্মেল গাজীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
পৌর বিএনপি ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও তার দোসর এখনও দেশে রয়ে গেছে। সাংবাদিক তার লেখনিতে সত্যি তুলে ধরবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু হুমকি দিয়ে সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করা কখনও কাম্য নয়। হুমকিদাতা আ.লীগ নেতা মোজাম্মেল গাজীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল গাজী বলেন, আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান কালবেলাকে বলেন, সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন