খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান এবং সাবেক রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরমধ্যে ভিসি, রেজিস্ট্রার নিয়োগ কর্তা হিসেবে বাকি ১৫ জন অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য আসামি হয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে তৎকালীন ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের ৪২৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দেন। ৭টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ভিসির ছেলেমেয়েসহ ৭৩ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুদক বিষয়টি তদন্তে নামে। এরমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১৫ জন কর্মকর্তার নিয়োগ অবৈধ বলে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া তাদের তাদের নিয়োগ কর্তা হিসেবে ভিসি-কোষাধ্যক্ষকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন এ মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থীদের অবৈধভাবে উত্তীর্ণ করিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রধান দুই অভিযুক্ত সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমন আবেদনপত্র সঠিক বলে গ্রহণ করেছেন যা বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছিল। এর মাধ্যমে ১৫ জনকে অবৈধভাবে উত্তীর্ণ করিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভিসির সহায়তায় আবেদন করেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করেন। নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউ অংশে একাধিক অপশনে দাগ দেওয়া সত্ত্বেও তাদের উত্তর সঠিক বলে বিবেচনা করা হয় এবং যোগ্য প্রার্থীদের বদলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন