৪৮তম বিসিএসের (বিশেষ) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭০২ জনের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫১১ জন এবং সহকারী সার্জন পদে ১৯১ জন রয়েছেন।
রোববার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানা গেছে।
পিএসসির তথ্যমতে, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) অথবা টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষায় বদলি পরীক্ষার্থী শনাক্ত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ ঘটনায় কমিশন প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ২০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, পরীক্ষার সময় রাজধানীর খিলগাঁও মডেল কলেজ কেন্দ্রে দুজন এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে। খিলগাঁও মডেল কলেজ কেন্দ্রে মো. নাজমুল হাসান (রেজি. নম্বর ৪৮১৩০৫৮৭), বাবা মো. আকবর আলী, মা মোসাম্মৎ নাজমা বেগম, জেলা সিরাজগঞ্জের বদলে পরীক্ষা দিতে আসে মো. ফাহাদ মৃধা (বয়স ২৪), বাবা মো. রেফা মৃধা এবং মা তমা প্রামাণিক।
এতে বলা হয়, একই কেন্দ্রে আরেকজন পরীক্ষার্থী জেসমিন আক্তার (রেজি. নম্বর ৪৮১৩০৪৭৫), বাবা প্রবীণ কুমার প্রামাণিক, মা নন্দিতা সরকার, জেলা নাটোরের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসে বদলি পরীক্ষার্থী জেসমিন আক্তার (বয়স ২৮), বাবা মো. মোখলেছুর রহমান। অন্যদিকে, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে মো. লিটন শেখ (রেজি. নম্বর ৪৮১৩২৭৬০), বাবা মো. দেলখোশ আলী, মা ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা সিরাজগঞ্জের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসে এনামুল হক (বয়স ২৫), বাবা গোলাম মোস্তফা, মুরাদনগর, কুমিল্লা। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিনজন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষায় দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে আফরিন জাহান (রেজি. নম্বর ৪৮২০১৩৬৫), বাবা মহসিন মাহমুদ, মা আমিনা বেগম, জেলা ময়মনসিংহ, তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রশ্নপত্রে নকলের চেষ্টা করার অভিযোগে নুসরাত জাহান (রেজি. নম্বর ৪৮২০৩৩৮৮), বাবা এটিএম নূরুন্নবী, মা সালেহা নবীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া আশিক ইকবাল (রেজি. নম্বর ৪৮১৩৩৫০৩) নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের অংশে নিজ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের পরিবর্তে অন্য প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখায় তার প্রার্থিতা বাতিলসহ তাকে আজীবনের জন্য কমিশন কর্তৃক গৃহীত সব পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী এবং যাদের হয়ে বদলি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে ৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বদলি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি কর্ম কমিশনের আওতাধীন ভবিষ্যতের সব পরীক্ষায় আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন