রংপুরে হামলার ঘটনায় নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
এতে বলা হয়েছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিস্তারিত জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল সোমবার (২৮ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ২২টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে তাদের বাড়িতেই আছে। কটুক্তির অভিযোগে আটককৃত রঞ্জন কুমার রায় এবং তার চাচার পরিবারসহ মোট তিনটি পরিবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িঘর মেরামতের কাজ শুরু হবে। জেলা প্রশাসক পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তাব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইম জানান, হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাড়িগুলোতে ২২টি পরিবার বসবাস করত।
তিনি জানান, রঞ্জন আটক হওয়ার পর থেকেই তার বাবা, দাদা এবং চাচার পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রয়েছেন। অন্যান্য ১৯টি পরিবারের সব পুরুষ সদস্য তাদের নিজ নিজ বাড়িতেই আছেন। ঘরবাড়ি ভাঙা থাকায় কিছু নারী সদস্য মালামাল নিয়ে রিকশা-ভ্যানে অন্যত্র চলে গেছে।
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় নেতারা ও এলাকায় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত হলে নারী সদস্যসহ সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন