জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলে পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুত সম্পন্ন করেছে নেতারা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ফেস্টুন তোরণ, পোস্টারে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক।
এই কর্মসূচি কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে পদযাত্রায় অংশ নিতে সোমবার রাতেই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী টাঙ্গাইলে পৌঁছেছেন। টাঙ্গাইলে পৌঁছে প্রথমে তারা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মাজার জিয়ারত শেষে ভাসানী দরবার হলে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ছাড়া সারজিস আলম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল), হাসনাত আব্দুল্লাহ মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল), সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা, ডা. তাজনুভা জাবিন জাবিন টাঙ্গাইলে যাবেন।
উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের পদচারণায় বিপ্লবী টাঙ্গাইলের মাটি আবারও গর্জে উঠবে । পদযাত্রায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোকজনের সমাগম হবে বলে আশা করছি। পদযাত্রাটি সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা সদরের শামসুল হক তোরণ থেকে শুরু হবে। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিরালামোড়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় মিলিত হবে।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলের নিরালা মোড় শুধুই একটি মোড় নয়, এটি ২০২৪ সালের জুলাই গণ-আন্দোলনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্তপ্ত মুহূর্তের জ্বলন্ত সাক্ষী। একসময় এই মোড়ে ছড়িয়ে ছিল জনগণের স্লোগান, প্রতিরোধের গর্জন এবং জাগ্রত স্বাধীনতার চিন্তার ঝলক। সেই ঐতিহাসিক মাটি আবারও স্পর্শ করবে এনসিপির পদযাত্রায়। রচিত হবে এক নতুন সময়ের ইতিহাস।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এই কর্মসূচি কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এপিবিএন পুলিশের ৭০ জন সদস্যসহ ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্তব্য করুন