উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন। যাতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর।
জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকছে শুরু করেছে।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
নিলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তিস্তার নিম্নঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থান থাকতে বলা হয়েছে। তবে তিস্তার পানি রাতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন