চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে বায়েজিদ ও হালিশহরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড বা বর্জ্য ফেলার স্থান ধাপে ধাপে আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তর করা হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে হালিশহর ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে পরিদর্শনে আসা দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।
ল্যান্ডফিল্ড হলো এমন একটি স্থান যেখানে বর্জ্য নিরাপদভাবে মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হয়।
মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রতিদিন বিপুল বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ছাড়া বিকল্প নেই। উন্নত নগর গড়তে হলে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।’
মেয়র বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় হালিশহর ও বায়েজিদের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তরের প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের নগরবাসী টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ভোগ করবেন।’
মেয়র আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা শুধু সুন্দর নগর হিসেবেই নয়, টেকসই ও আধুনিক নগর হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই। এজন্য উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মেজর নাসিম, অ্যাডভোকেট তারানুম বিনতে নাসিম, চংওয়াং পার্ক, নোফিল তামিম পার্ক, আন সুংগেউন, হান ডং গু, লি সাং হুন ও জং হোয়ান ইল।
প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রামের বায়েজিদ ও হালিশহরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তরের পরিকল্পনায় ‘সার্কুলার ইকোনমি পাইলট প্রকল্প’ প্রস্তাব করেছে। প্রকল্পটি থ্রি আর (Reduce, Reuse, Recycle কমানো, পুনঃব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ) নীতির ভিত্তিতে টেকসই ল্যান্ডফিল্ড পুনরুদ্ধারের সমাধান দেবে।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন