বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহায়তায় নতুন জীবন পেল শিশু রাতুল। জন্ম থেকেই জটিল হৃদরোগে ভুগছিল শিশুটি। হার্টের ছিদ্র, সংকুচিত পালমোনারি ভাল্ব ও ডায়াফ্রামেটিক হার্নিয়ার মতো গুরুতর জন্মগত সমস্যার কারণে তার শৈশব ছিল সীমাহীন কষ্টের।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর মাধ্যমে বিষয়টি তারেক রহমান অবগত হয়ে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মো. মোকসেদুল মোমেনিন মিথুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সারোয়ার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. সামিউর রহমান ও ডা. হুজ্জাতুল রানা রাতুল ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
তানভির ইসলাম রাতুল (৬) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বরুহাটি গ্রামের অসহায় রিকশাচালক ওহেদ আলীর ছেলে।
রাতুলের বাবা ওহেদ আলী বলেন, আমার ছেলে জন্ম থেকে জটিল হৃদরোগে ভুগতেছিল। আমি দিন আনি দিন খাই। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। বারহাট্টার কৃতী সন্তান কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আব্দুল বারী ড্যানীর সহাযোগিতায় তারেক রহমান চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তারেক রহমান ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সহযোগিতায় গত ৩০ জুন রাতুলকে ভর্তি করা হয় জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে। সেখানে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম এবং থোরাসিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী সাইফুল ইসলাম শাকিলের তত্ত্বাবধানে জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু।
চিকিৎসক দলের ভাষ্যমতে, রাতুল এখন অনেকটাই সুস্থ এবং আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাসায় ফিরতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত নেতারা রাতুলের পরিবারের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তরিক শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং ভবিষ্যতে তার চিকিৎসাজনিত যে কোনো প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন