গাজীপুরের শ্রীপুরের তাকওয়া পরিবহনের নামের একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের তাহের সিএনজি পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের উত্তেজিত জনতা কয়েকটি মিনিবাস ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, নিহত ওই নারীর নাম চম্পা বেগম (৩২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে।
চম্পার ভাজিতা সুমন মিয়া জানায়, স্বামীর সঙ্গে চম্পা গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর তার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। শুক্রবার ছোট বোনের বাড়িতে তাদের বাবা গ্রাম থেকে বেড়াতে আসলে চম্পাও বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছোট বোনের বাড়িতে যান। বাবার সঙ্গে দেখা শেষে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য নয়নপুর থেকে বাসে ওঠেন। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমরা পাশেই বসেছিলাম। এ সময় হঠাৎ একটি তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে শব্দ হয়। পরে আমরা মহাসড়কে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।
মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি এখনো নিশ্চিত গতে পারিনি। আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কংকন কুমার বিশ্বাস জানান, জড়িত বাসকে শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসটিকে শনাক্ত করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা নারীর মরদেহ পাইনি।
মন্তব্য করুন