

মুন্সীগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন আমগাটা গ্রামে ককটেলসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৭ জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। এ সময় চার বালতি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও এসব উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রলীগের মানব কল্যান উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পিন্টুর হাতে বানানো ককটেল বোমা বিস্ফোরণের কারখানা উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। মো. পিন্টু খানের বাবার নাম জয়নাল খান।
আটককৃত অন্যরা হলেন- সোহাগ পিতা হোসেন খান, আলমগীর পিতা অজানা আমঘাটা খালাসী বাড়ির জামাই, আমির খালাসী পিতা শওকত খালাসী ককলেট সহ আটক। এছাড়া ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুলিশের হাত থেকে আটক এড়াতে পালিয়ে যান মোঃ বিপ্লব খান, পিতা বাদল খান, মো. টিটু শিকদার ওরফে কোয়া টিটু, পিতা শাহাবুদ্দিন শিকদার।
স্থানীয় বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন নেতা কালবেলাকে বলেন, আটকৃতদের মধ্যে পিন্টু খান ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আক্রমণ করেছেন। তিনিসহ অন্যরা সবাই ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মী। অথচ অদৃশ্য প্রভাবশালীদের ইশারায় পিন্টু খানকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বুধবার রাতে কালবেলাকে বলেন, একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে চারটি বালতিতে ১৪ টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশেই আরেকটি বাড়িতে ৫ জন ব্যক্তি ইয়াবা ও মাদক সেবন করছিল তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলার খবর পাইনি। অধিকতর যাচাই বাছাই হচ্ছে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জে ছাত্রলীগ যুবলীগের কেউ নেই। সবাই পালিয়ে ঢাকায় রয়েছে। কেউ থাকলে আমরা আটক করছি। কাউকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা তার জানা নেই বলে জানান।
মন্তব্য করুন