খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ফুলতলা উপজেলার বড়িয়ারডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে খানজাহান আলী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকায় জাহিদকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের হয়রানি এবং কষ্ট পেতে হয়েছে। স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর সাজা হওয়ার পর থেকে জাহিদ ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিল। জাহিদ হাসান খানজাহান আলী থানার বড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ পরিদর্শক পলাশ কুমার দাস জানান, জাহিদ হাসানের জন্ম ১৯৮১ সালে খুলনা জেলার ফুলতলা এলাকায়। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান এবং ২০০৪ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের নয় মাসের মাথায় জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেন। একপর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুর জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। ওই সময় থেকে জাহিদ হাসান পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে তার অনুপস্থিতিতে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। জাহিদ হাসান ভারতে চার বছর পলাতক থাকেন। বাংলাদেশে ফিরে সে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। সর্বশেষ সে পুনরায় খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় ভিন্ন একটি গ্রামে আত্মগোপন করে থাকে এবং তার নিজের নামসহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধু হোসেন নাম ধারণ করে। পরে নিজেকে আড়াল করার উদ্দেশে মুখে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করতে থাকে।
মন্তব্য করুন