যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক বলেছেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিই আমাদের জাতীয় পরিচয়, আমাদের শেকড়। বাংলাদেশের যে গ্রামীণ সংস্কৃতি তার অনেকটাই ধরে রেখেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাতে তেরোখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে দুর্গাপূজা পরবর্তী এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির কাছে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন। পরবর্তীতে যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করে পারভেজ মল্লিক বলেন, আমি এই অঞ্চলে আপনাদের সেবক হতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের এলাকায় কাজ করছি। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা উৎসব পালনসহ তাদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা করেছি।
এ সময় তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমি দেখেছি, কীভাবে হিন্দু সম্প্রদায় সেই সংস্কৃতিকে ভালোবাসা দিয়ে ধরে রেখেছে। বিশেষ করে দুর্গাপূজার মতো উৎসবে আমরা দেখি এক অনন্য সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, যেখানে ধর্মকে ছাড়িয়ে আমরা এক কৃষ্টি, এক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে যাই।
পারভেজ মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে যে লোকগান, পালাগান, নাটক ও নাচের ঐতিহ্য আছে, তা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের জাতির মনন গঠন করেছে।
দুঃখজনকভাবে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম যেন না ভুলে এই শেকড়কে— এটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য। এই সংস্কৃতি কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের নয়, এটা আমাদের সবার। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান— সবাই মিলে আমরা এক হয়ে এই মাটির সংস্কৃতিকে লালন করেছি। সেই ঐক্যকে ধরে রাখার এখনই সময়।
তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠান প্রমাণ করে দিয়েছে— সংস্কৃতি মানুষকে একত্র করে, বিভাজন নয়, বরং সংহতির বার্তা দেয়। আমি অভিনন্দন জানাই আয়োজকদের, যারা এই অসাধারণ পরিবেশনার মাধ্যমে আমাদের মনের গভীরে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছেন।
আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক, সংস্কৃতি আমাদের সবার। এটাই আমাদের পরিচয়, আমাদের অহংকার। আসুন, এই সংস্কৃতি ধরে রাখি, বাঁচিয়ে রাখি এবং আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে দিই এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম লাখু, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ শেখ, সাবেক শিল্প ও কুটির বিষয়ক সম্পাদক শেখ লালিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সরদার জিয়াউর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার আলম, বিএনপি নেতা বাহার মোল্লা, এনামুল শেখ, আজিজ, চৌধুরী সবুজ, জুয়েল, টুলু মোল্যা, মেহেদী, এমদাদুল, তুষার, কামরুল মল্লিক, সাহেদ শেখ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন