বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া’র প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৪ অক্টোবর) ময়মনসিংহের মুসলিম ইনস্টিটিউটে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জনমুক্তি’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘জনমুক্তি’র আহ্বায়ক নাশাদ ময়ুখ। সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাছিম বিল্লাহর স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব খাঁন আয়্যুব, মুখপাত্র তমসা অরণ্য উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-উপনিবেশিক তাত্ত্বিক, কবি ও চিন্তক ফয়েজ আলম; কবি ও প্রাবন্ধিক কাজী নাসির মামুন; কবি ও সমালোচক ইমরুল হাসান; কবি ও গদ্যকার মৃদুল মাহবুব এবং কবি ও অনুবাদক সাইদ ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনমুক্তি ময়মনসিংহ জোনের আহ্বায়ক জুবায়ের পারভেজ।
আলোচনায় বক্তারা সব ধরনের সাংস্কৃতিক ধারাকে ধারণ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংস্কৃতির দিকে যাত্রার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তাত্ত্বিক ফয়েজ আলম সমসাময়িক ভাষাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে ভাষাকে আরও স্বাধীন ও সমৃদ্ধ করার ওপর জোর দেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এর মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ বাংলাদেশি সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে কবি রওশন আরা মুক্তার ‘জুলাই আন্দোলনের’ ওপর লেখা কবিতা ‘গোল্ডফিশের কান্না’ পাঠ করেন তামান্না চিত্র। এছাড়া সর্বশেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব, যা দর্শকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানে নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক বিধান মিত্র; ময়মনসিংহের কবি, সাহিত্যিক এবং সচেতন নাগরিকদের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকে জনমুক্তির সদস্যরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, জনমুক্তি ২০২৪ সালে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটির অন্যতম লক্ষ্য হলো—কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক আধিপত্য কমিয়ে বিকেন্দ্রীকৃত সাংস্কৃতিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা।
মন্তব্য করুন