বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতা রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তা আসামিরা হলেন- উপজেলার চকভোলা খাঁ গ্রামের মৃত সরাবুল্লা প্রামাণিকের ছেলে মো. মাহবুর (৪৮), তার স্ত্রী মোছা. পারুল (৩৮) ও ছেলে বাপ্পী হাসান (২৭), একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. সাইফুল (৪২), বেলাল ফকিরের ছেলে মো. জাকির (৩০), আয়েজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), মৃত মজিবরের ছেলে আবদুল বাকি (৪০), মৃত হযরত আলীর ছেলে শহীদ হোসেন (৩৫), মো. আবদুলের ছেলে মো. আপেল (২৮), মৃত ফাওয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৮), মারুফ হাসানের স্ত্রী মোছা. রাফিয়া (১৮), আফতাব হোসেনের স্ত্রী মোছা. রেবেকা (৩০), আবদুস সামাদের স্ত্রী মোছা. স্বপ্না (৪০), মো. শাহীনের স্ত্রী মোছা. কাবাসী (৪৫), মো. জাকিরের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২২), খোরশেদ আলমের স্ত্রী মোছা. নাজমা (৩০), মো. খলিলের স্ত্রী মোছা. আসমা (৩০), জুয়েল হকের স্ত্রী আসমা খাতুন (৩৫), মো. শামীমের স্ত্রী মোছা. রুমি (৩৮), মো. সাইফুলের স্ত্রী মোছা. আয়শা (৩৯) এবং মৃত রমজানের ছেলে মাহাতাব উদ্দিন (৪৫)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকভোলাখাঁ মহল্লার কয়েকজন জানান, যেহেতু অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২ শতাধিক। তাই গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামের নারী-পুরুষরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরাও আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের কাছে আমাদের দাবি, সাধারণ গ্রামবাসীকে যেন হয়রানি করা না হয়।
শিবগঞ্জ থানা ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন কালবেলাকে বলেন, হাতকড়াসহ পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা রিজ্জাকুল ইমলাম রাজুকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাদের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে পুলিশকে মারধর করে হাতকড়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করেছেন।
মন্তব্য করুন