বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

বরগুনায় আদালত চত্বরে মৃত্যুদণ্ড আসামিরা। ছবি : কালবেলা
বরগুনায় আদালত চত্বরে মৃত্যুদণ্ড আসামিরা। ছবি : কালবেলা

বরগুনায় গর্ভধারিণী মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে ছেলের দায়ের করা মামলায় জন্মদাতা পিতা, সৎমা ও বোনের স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার (৫৯), তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচি বেগম (৫০) এবং জামাতা সুজন (৩৫)। সুজন একই গ্রামের মোস্তফার ছেলে।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বাদী হেলাল তালুকদারের মা নিহত মহিমা বেগমের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিযুক্ত কবির তালুকদার। দাম্পত্য জীবনে যৌতুকের দাবিতে কবির তালুকদার প্রায়ই স্ত্রী মহিমা বেগমকে নির্যাতন করতেন।

পরে কবির তালুকদার তার মেয়ের শাশুড়ি এলাচি বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে হেলালের বোন রেখা বেগম মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন। কয়েক বছর পর কবির তালুকদার সেই শাশুড়ি এলাচি বেগমকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ আরও বাড়ে।

২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর হেলাল তালুকদারকে কৌশলে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে কবির তালুকদার, এলাচি বেগম ও জামাতা সুজন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মহিমা বেগমকে হত্যা করেন। পরে ঘটনাটিকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার পর বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার পেয়েছি। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হোসনেয়ারা শিপু বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডটি প্রমাণিত হয়েছে। আদালত যথাযথ রায় দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে আমি মনেকরি।

প্রধান আসামি কবির তালুকদারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তরু ফরাজী। অন্য দুই আসামি এলাচি বেগম ও সুজনের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. ইমরান হোসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১০

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১১

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১২

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৩

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৪

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৫

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৬

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৭

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৮

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৯

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

২০
X