খুলনার দাকোপে ঢাকী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের ছয় থেকে ৭টি গ্রাম। এতে ঘরবাড়ি, ফসল ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই দিন পার হলেও এখনো বাঁধটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে বেড়েই চলেছে ভুক্তভোগীদের দুর্দশা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে অস্বাভাবিক জোয়ারে দাকোপ উপজেলার ৩০ নম্বর পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া হরিসভা মন্দির সংলগ্ন বাঁধ ভেঙে যায়।
দুই দিনেও বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় রান্না করতে পারছে না বেশিরভাগ পরিবার। এতে ঘরবাড়ি, ফসল ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে হাজারও মানুষ, অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।
এলাকাবাসী জানান, দুই বছর আগে আম্ফানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তা সংস্কার শেষ না হওয়ায় ফের সেটি ভেঙে গেছে। দাকোপের বটবুনিয়া এলাকার মহেশ্বর ঢালী জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে যে এলাকাগুলোয় পানি ঢুকেছে, সে এলাকার ঘরগুলোয় হাঁটু সমান পানি। যাতায়াত ব্যবস্থা পুরো বন্ধ হয়ে গেছে।
ভাঙনের পর বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে স্থানীয়রা ও পাউবোর উদ্যোগে ভাঙা অংশে বালু ভর্তি জিও টিউব দিয়ে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে নদীর প্রবল জোয়ার থাকায় তা ব্যর্থ হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম কালবেলাকে বলেন, বাঁধ বেঙে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক জিও টিউব দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হয়। পানিতে উচ্চ জোয়ার থাকায় দুবার যে জিও টিউব দেওয়া হয়েছে, তা ভেসে গেছে। বিকেলে আবার ভাটায় কাজ শুরু হবে। আমরা পর্যাপ্ত বালু ও জিও টিউব সরবরাহ রেখেছি।
এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে রাতের জোয়ারের আগে যেন বাঁধ মেরামত করা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। নদীর এ অংশের একটি বাঁক রয়েছে। যার কারণে এখানে ভাঙনের মাত্রা বেশি। নদীর ওপারে চর জমেছে। আর এ পারে ভাঙছে।
মন্তব্য করুন