হোল্ডিং, বাড়ির প্ল্যান এবং জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও খালের জমি উদ্ধারের নামে ৪০টি পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তারা অভিযোগ করেছেন, বিলীন হওয়া শোভা রানির খালের জমি উদ্ধারের নামে তাদের নোটিশ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এই জমি এবং বাড়ি হারালে তাদের পথে বসতে হবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে ৪০টি পরিবার। তারা বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিআইপি শাখা সড়কের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিআইপি শাখা সড়কে আমরা যে যার মতো ভবন নির্মাণ করেছি। এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে হোল্ডিং ও বাড়ির প্লান পাস করা হয়েছে। তা ছাড়া ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সিটি করপোরেশন থেকে আমারা ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তি সনদ পেয়েছি। ওই জমির বিষয়ে দেওয়ানি মামলার রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। ওই রায়ে ডিক্রিও বহাল আছে।
তা ছাড়া ওই জমির বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশনের স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল আছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ আগস্ট স্থিতাবস্থার আদেশ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আমাদের জমির কাজপত্র ও সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া প্ল্যানের কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের প্ল্যানের কাগজপত্র চেয়ে নোটিশ করে। ৬ অক্টোবর আমরা প্লানের কাগজপত্র বিসিসিতে জমা দিয়েছি।
তারা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রিমহল তাদের জমি খালের জমি হিসেবে চিহ্নিত করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে ভুল বুঝিয়েছে। তাই আমরা আবারও গত ৯ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে জমির কাগজপত্র ও প্ল্যানের বিষয় জানানো হয়েছে। সরেজমিন তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার বলেছিলেন, বিআইপি শাখা সড়কের পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শোভা রানির খাল ছিল। সেই খালটি এখন নিশ্চিহ্ন। আমরা খালের জমি উদ্ধারে নেমেছি। এজন্য সেখানে থাকা ভবন এবং স্থাপনার মালিকদের চিঠি দিয়েছি। তারা কেউ প্রমাণ করতে পারেননি, যে এখানে কোনো খাল ছিল না। এ বিষয়ে দ্রুতই দৃশ্যমান পদক্ষেপে যাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন