কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর যুবলীগের সহসভাপতি কাজী তরিকুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের খবরে আনন্দ প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।
গত রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ডে চালকদের উদ্যোগে ওই মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
গ্রেপ্তার কাজী তরিকুল ইসলাম (সুমন) দেবিদ্বার পৌর এলাকার মরহুম কাজী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। কাজী সুমন সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের আস্থাভাজন ছিলেন এবং দেবিদ্বারের সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রক ছিলেন। সে হাসিনা সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কাজী সুমন দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কে সিএনজি স্ট্যান্ডে ‘জিপি’র নামে চাঁদা আদায়সহ চালকদের নানা হয়রানি, মারধর, সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করে আসছিলেন। শুধু তাই নয়, যারা তার কথার অবাধ্য হয়েছে তাদের রোডে সিএনজি ও অটোরিকশা চালানো নিষেধ ছিল। কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহে বিপুল অর্থের বিনিময়ে সড়কে চলাচলের সুযোগ নিতে হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে চালক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছিল। গত সাড়ে ১৬ বছর তার এক নায়কতন্ত্র চলে আসছিল।
এদিকে কাজী সুমনের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে চালকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সিএনজি স্ট্যান্ডে একত্র হয়ে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন তার অন্যায় ও জুলুমের শিকার হয়েছি, আজ আমরা একটু স্বস্তি পেলাম।’
স্থানীয় চালকরা প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি নারী নির্যাতন মামলায় কাজী তরিকুল ইসলাম সুমনকে সেনা সদস্যরা গ্রেপ্তারপূর্বক মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছেন। থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে সে গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রুবেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মন্তব্য করুন