চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি বিষধর সাপ কিং কোবরা (রাজ গোখরা) গলায় পেঁচিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তি সাপটি বিক্রিরও চেষ্টা করে। পরে ক্রেতা সেজে পাহাড়ে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাপটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় উপজেলার মিঠাছরা বাজার থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিরাপদে নেওয়া হয়।
সাপটির বিষদাঁত উপড়ে ফেলা ও তা দিয়ে খেলা দেখানোর কারণে গুরুতর আহত থাকায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বনবিভাগের মাধ্যমে সাপটির চিকিৎসা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তি পাহাড় থেকে ধরে এনে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সাপটি গলায় পেঁচিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মানুষকে ভয়ভীতি দেখায়। এ ছাড়া ওই ব্যক্তি সাপটি বিক্রিরও চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দলের চট্টগ্রাম জেলার নেতারা কৌশলে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী উদ্ধার দল ডব্লিউএসআরটিবিডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম নিলয় কালবেলাকে বলেন, পাহাড়ি এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রাজ গোখরাটিকে অবৈধভাবে আটক করে রেখেছিল। সে সাপটিকে ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিল এবং পরবর্তীতে সাপটি বিক্রির উদ্দেশে রাখে। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় আমরা কয়েকজন ক্রেতা সেজে সাপটিকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, সাপটির বিষদাঁত উপড়ে ফেলায় ও তা দিয়ে খেলা দেখানোর কারণে সাপটি গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সাপটি বাংলাদেশ বন বিভাগের হার্পেটোলজিস্ট সোহেল রানা সৈকতের তত্ত্বাবধানে আমার হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে বনবিভাগের মাধ্যমে বনে অবমুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ বন বিভাগ হার্পেটোলজিস্ট সোহেল রানা সৈকত কালবেলাকে বলেন, সাপটির অবস্থা খুব খারাপ। দাঁত তুলে ফেলা হয়েছে, মাথায় আঘাত রয়েছে, চিকিৎসা চলছে। আশা করছি আগামী দুই-তিন দিন পর সুস্থ হয়ে গেলে বনে অবমুক্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন