

কুড়িগ্রামের চররাজিবপুরে পুলিশকে কামড় ও হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির ছক্কুকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য। ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছেন পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজিবপুর থানার ওসি শরীফুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হুমায়ুন কবীর ছক্কু চর রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আটক দুজন হলেন- উত্তর চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রহিম এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান, গোলাম মোস্তফা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জয়ন্ত, হাবিব, কনস্টেবল রাশেদুল ও এনামুল হক।
এর আগে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের উত্তর চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সরকারকে উৎখাত করতে এবং জুলাই সনদ বাতিলের দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানোর খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজিবপুর থানার ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা আরও জানতে পারেন, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু তার অনুসারীদের নিয়ে সরকার উৎখাতের গোপন বৈঠক করছেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হুমায়ুন কবির ছক্কুসহ তার অনুসারী ৩ থেকে ৪ শতাধিক লোক তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পুলিশ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কুকে আটক করলে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে কামড় ও হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমাদের ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার দুজনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে তিন থেকে চার শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের কুড়িগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজিবপুর ও কোদালকাটি ইউনিয়নে সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য কাজ করছি। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন