পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় ছোট্ট আরাফাত

মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সবার সঙ্গে মানববন্ধনে ছোট্ট আরাফাত। ছবি : কালবেলা 
মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সবার সঙ্গে মানববন্ধনে ছোট্ট আরাফাত। ছবি : কালবেলা 

রংপুরের পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ইয়াসমিন নাহার কাকলী হত্যার বিচার ও জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেয় কাকলীর ছোট ছেলে আরাফাতও (৪)। এ সময় তাকে বুকে পোস্টার চেপে মায়ের হত্যার বিচার দাবি করে সবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালের হাট বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কান্দি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তালুক কান্দি, তালের হাটসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি সাহেব উদ্দিন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঈসা মিয়া, ইউপি সদস্য রাজেক বেগ, বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম ভুট্টু, সমাজসেবক আতাউর রহমান, মহিলা নেত্রী রুপসা বেগম ও নিহতের বাবা ইলিয়াস আলী খান।

বক্তারা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যার এক মাস পার হলেও মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। উল্টো তারা প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে না।

তারা আরও জানান, দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে কান্দি ইউনিয়নে আবারও মানববন্ধনসহ প্রয়োজন পীরগাছা থানা ও এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুককান্দি গ্রামের ইলিয়াস আলী খানের মেয়ে ইয়াসমিন নাহার কাকলীর সঙ্গে একই গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে আবু রায়হানের ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের রিফাত ও আরাফাত নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। সংসার করার এক পর্যায়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী আবু রায়হান, এতে আপত্তি জানালে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য কাকলীকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরে ফেলে পালিয়ে যায়—এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। পরে নিহতের বাবা পীরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার পর এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হলেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী

নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যশোরে তরুণদের মধ্যে বেড়েছে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা

১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল

আরও ভয়ংকর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

সারজিসের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন বৈষ্যমবিরোধীর সাবেক জেলা আহ্বায়ক

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেটের সম্মাননা পেল বিজিএমইএ

১০০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডবের আশঙ্কা, বাতিল বিমান-ট্রেন চলাচল

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মেসি

লাল চাদরে ঢাকা যেন গোমতী নদীর চর

১০

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটস’-এর ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ

১১

তুরস্কের ফুটবলে অশনিসংকেত, ১৫২ রেফারি জড়িত জুয়ার সঙ্গে

১২

২০ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মফিজের

১৩

খতিব মহিবুল্লাহ নিখোঁজের ঘটনাটি সাজানো নাটক

১৪

বিপুলসংখ্যক জামিন / তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি

১৫

প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ আকিজ বশির গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১৬

বরফযুক্ত ইলিশে বাজার সয়লাব, টাটকাগুলো গেল কই?

১৭

লালবাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩

১৮

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প, একাধিক ভবনধস

১৯

মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় ছোট্ট আরাফাত

২০
X