

গাইবান্ধায় অটোরিকশা চুরির অভিযোগ চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সাধারণ জনতা। এ সময় একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার জিরো পয়েন্ট গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন—বগুড়া জেলার কালাই ঘনপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলী ছেলে মতিউর রহমান (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার নন্দাইল থানার খয়দা গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে ফারুক (৩৫) ও শেরপুর জেলার হোসেনপুর থানার বিলাতিপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে রাজু মিয়া (২৮)।
ভুক্তোভোগী অটোচালক রাজু মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার শহরের পুলবন্দি এলাকার পেয়াদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই চোর চক্রের ২ সদস্য গত আগস্ট মাসে বালাসীঘাট থেকে অটোরিকশা রিজার্ভ ভাড়ার নাম করে শহরের পুরাতন বাজার থেকে রেলগেট এলাকায় নিয়ে যায় ভুক্তভোগী চালক রাজু মিয়াকে। এরপর তাদের সঙ্গে অটোরিকশাটি রেলগেটে রেখে হকার্স মার্কেটে মালামাল আনতে গেলে কিছু লোকজন তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে রিজার্ভ করার লোক দুজনও একটি প্রাইভেটকারে করে ভুক্তভোগী অটোচালককে রেখে পালিয়ে যায়। সেই প্রাইভেটকারের নেমপ্লেট সিসি টিভিতে ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে রাখেন ভুক্তভোগী চালক। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী অটোচালক প্রাইভেটকার টিকে আটকালে চেষ্টা করলে সাধারণ জনতা ভুক্তভোগীর কথা শুনে আটক করেন ওই গাড়ি ও তিনজন ব্যক্তিকে। পরে পুলিশে খবর দিলে সদর থানা পুলিশ এসে প্রাইভেটকারসহ চোর চক্রের তিন সদস্যকে তাদের হেফাজতে নেন। এছাড়া আটককৃতদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুইটি বাটন ফোন ও নগদ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা ও আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার চুরি করে আসছিল। এদের আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ভুক্তভোগী অটোচালক রাজু মিয়া বলেন, এরা আমার অটোবাইক চুরি করেছে। আমার অটোবাইক ফিরে চাই এবং এই তিনজনের শাস্তি চাই। এদের একপক্ষ ভাড়া ঠিক করে আরেক পক্ষ প্রাইভেটকার চালিয়ে টার্গেটে থাকে। আবার অন্য আরেকপক্ষ চুরির জন্য অবস্থান নেয় বিভিন্ন জায়গায়।
আরেকজন অটোচালক হাসান মিয়া বলেন, ‘এরা নিয়মিত বিভিন্ন কৌশলে অটোবাইক ভাড়া নেওয়ার কথা বলে এভাবে চুরি করে থাকে।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই রুবেল সরকার কালবেলাকে বলেন, ‘দুপুরে ভুক্তভোগী অটোচালক রাজু প্রাইভেট কারটির নাম্বার দেখে সনাক্ত করে গোলচত্বর এলাকায় আটক করে। এসময় উত্তেজিত জনতার হট্টগোল সৃষ্টি হলে সদর থানার টহল টিম আটককৃত চোর চক্রের ৩ সদস্যকে থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন