সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রুখতে সরকার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে নির্দিষ্ট দামে মিলছে না আলু ও পেঁয়াজ। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় কাঁচাবাজারে প্রশাসনের তৎপর না থাকায় সরকারের নির্ধারিত দরে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি চোখে পড়েনি।
সোমাবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সদর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। আবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। দোকানিদের দাবি- সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু কিনতে পারছেন না তারা। তাই আগের দামেই আলু বিক্রি করছেন।
খুচরা আলু বিক্রেতা মিলন বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। সেই দামে আলু আমরা কিনতেও পারিনি। এসব আলু আমার আগের কেনা। কেজি প্রতি ৪০ টাকাতেও বিক্রি করার সুযোগ নেই।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মামুন বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম এখনও আগের মতোই রয়েছে। মোকামে পেঁয়াজের দাম কমে গেলেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমে যাবে।
আলু চাষি ইব্রাহিম বলেন, আমরা ধারদেনা করে আলু চাষাবাদ করি। ধারদেনা শোধ করার জন্য মৌসুমে শুরুতেই আলু বিক্রি করতে হয়। তখন এক মণ আলু ৬০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আমরা আলু উৎপাদন করে দাম পায় না, কিন্তু ক্রেতাদের ঠিকই বেশি দামে আলু কিনে খেতে হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী আর কোল্ডস্টোরেজের কাছে এখন জিম্মি বাজার।
বাজারে আসা এক ক্রেতা জানান, বাজারে ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির দামের কারণে চাহিদামতো ক্রয় করতে পারি না। সব ধরনের সবজির দামের পাশাপাশি গরিবের একমাত্র ভরসা আলু, সেই আলুর দামও হাফ সেঞ্চুরি। মাছে তো হাত দেওয়াই যায় না, মাছের দামও ঊর্ধ্বগতি। কাঁচাবাজারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় আলু পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই।
এ প্রসঙ্গে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বেশি দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা কাঁচাবাজারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
মন্তব্য করুন