

ভূমিকম্প থেকে অগ্নিকাণ্ড প্রতিটি দুর্যোগই অতিমাত্রায় ভুগিয়েছে ঢাকার বাসিন্দাদের। সামান্যতম দুর্যোগও এ নগরে যে মৃত্যুর মিছিলের সৃষ্টি হয় তা মেনে নিয়েই টিকে আছে নগরের প্রতিটি প্রাণ। সম্ভাব্য ভূমিকম্পের আতঙ্কে ভীত-সন্ত্রস্ত জীবনযাপন করছে গোটা জনপদ। ঢাকার সরু গলি ও ভবনগুলো নিয়ে কতশত নাগরিক সাহিত্য, নাটক, উপাখ্যান লিখা হলেও ধীরে ধীরে তা হয়ে উঠেছে ভীতিকর আলোচনার বিষয়বস্তু। তবুও মানুষ আশ্চর্যজনকভাবেই তার জীবনের সব সহায়-সম্বল, পরিজনকে আঁকড়ে ধরে পড়ে আছে অপরিকল্পিত ঢাকায়। কিন্তু ঢাকার প্রতিটি ভবন, সড়ক ও প্রান্তর তো মৃত্যুভীতির কেন্দ্র না হয়ে উঠতে পারত নিরাপদ আশ্রয়।
আনুমানিক ২২ লাখ ভবনের ওপর টিকে থাকা এ নগরের প্রতিটি ভবনের বাসিন্দারা কেন এত অনিরাপদ বোধ করে? সে প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রথমেই বলতে হবে যে কোনো নিরাপদ ভবন নির্মাণের মূল ভিত্তি হলো শক্তিশালী অবকাঠামো, আর সেই ভিত্তি নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করা অপরিহার্য। ১৯৯৬ সালে বিএনবিসি প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য তখন কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ছিল না। পরে ২০২০ সালে কোডটি হালনাগাদ করা হয় এবং তখন বলা হয় যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি- বিবিআরএ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে, যা বড় শহরগুলোর বাইরে কোথায় কী ধরনের নির্মাণ হচ্ছে তা দেখভাল করবে। কিন্তু ২০২৫ সালেও সেই কর্তৃপক্ষ এখনো গঠিত হয়নি। সিসমিক ভলনারেবিলিটি থেকে শুরু করে ফায়ার সেফটি, সবকিছুই বিএনবিসিতে অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও বিবিআরএ না হওয়ায় এত বৃহৎ একটি বিল্ডিং কোড কার্যত শুধু কাগুজে বাঘের মতোই রয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বড় শহরগুলোতে আমরা যখন কোনো ভবন নির্মাণ করি, অনুমোদনের জন্য সাধারণত ড্রয়িং জমা দিই। কিন্তু ভবনটি প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ কি না? অর্থাৎ কাঠামোগতভাবে টেকসই কি না, তা নির্ভর করে স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং-এর ওপর। খুব সাম্প্রতিক সময় থেকেই স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে। অথচ এত বছর ধরে অসংখ্য ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেবল আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং দেখে, কোনো স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং ছাড়া। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে কাঠামোগত নিরাপত্তার বিষয়টি প্রায় উপেক্ষিতই ছিল। স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং ছাড়াই অনুমোদিত ও নির্মিত লাখ লাখ ভবনে যে কোটি মানুষের বসবাস তারা কি আদতে নিজ ঘরেও নিরাপদ?
ইমারত নির্মাণ বিধিমালাতেও আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং-এর উল্লেখ আছে, কিন্তু স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং-এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কিছু বলা আছে কি? বিধিমালায় বিভিন্ন ধরনের ভবনের জন্য যে সেটব্যাক বা পারস্পরিক দূরত্বের আলাপ, যাতে ভূমিকম্পের সময় একটি ভবন হেলে বা ভেঙে পাশের ভবনের ওপর না পড়ে, তা বাস্তবে আমরা মানিনি। এর ফলেই ইট কিংবা ধ্বংসাবশেষ পড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটার ঘটনা এ শহরে হরহামেশাই ঘটছে। যথেষ্ট দূরত্ব থাকলে এ ধরনের ঝুঁকি অনেক কমে যেত। আগে ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ৬ তলার ওপরে ভবনকে হাই-রাইজ হিসেবে গণ্য করা হতো। পরে ২০০৮ সালে তা বাড়িয়ে ১০ তলা করা হয়। অথচ অগ্নিনিরাপত্তা জনিত আইনে এখনো ৬ তলাকেই হাই-রাইজ বলা হয়। এই অসংগতির সুযোগে ১০ তলা পর্যন্ত ভবনগুলোতে ন্যূনতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে না অনেক জায়গাতেই। বহু ভবন কার্যত হাই-রাইজের ঝুঁকি নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু কাগজপত্রের কারসাজিতে তারা হাই-রাইজ হিসেবে গণ্য হচ্ছে না।
নকশা ও নির্মাণের মাঝেও রয়েছে বড় ধরনের গোলমাল। ইঞ্জিনিয়াররা নকশা তৈরি করেন ঠিকই, কিন্তু কোনো বিধিমালায় বলা নেই যে নির্মাণকাজের সময় প্রকৌশলী বা কোনো স্বাধীন অডিটরের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হবে। ফলে আরেকটি সমস্যা হলো নকশায় যা আছে, নির্মাণে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা কেউই নিশ্চিতভাবে জানে না। বাস্তব নির্মাণের সঙ্গে নকশার সামঞ্জস্য কতটুকু, কিংবা স্ট্যান্ডার্ড মানা হচ্ছে কি না সেটা যাচাই করার নির্ধারিত ব্যবস্থা নেই। অনুরূপভাবে, বিল্ডিং নির্মাণে কোনো কনস্ট্রাকশন অডিটের ব্যবস্থা নেই। কী মানের কাঁচামাল ব্যবহার করা উচিত, আর বাস্তবে কী ব্যবহার করা হচ্ছে্ তা জানারও কোনো নির্ভরযোগ্য উপায় নেই। বাইরে থেকে দেখতে ভবন হয়তো সুন্দর, কিন্তু ভেতরের মান কেমন তা বোঝার সুযোগ নেই। রানা প্লাজার অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা কার্যকরভাবে শিক্ষা নিতে পারিনি।
বেসরকারি প্রকল্পগুলোর ভূমি উন্নয়ন বিধিমালার অধীনেই আবাসন নির্মাণ করার কথা, কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যূনতম পরিকল্পনা মানদণ্ডও মানা হয় না। একটি এলাকায় কতটি খেলার মাঠ থাকা উচিত, কতটুকু কমিউনিটি স্পেস দরকার, নাগরিক সুবিধা কতটা বাধ্যতামূলক এসব স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে তা প্রায় উপেক্ষিতই থাকে।
গেটেড কমিউনিটিগুলো মাস্টারপ্ল্যানে বড় বড় খোলা জায়গা দেখিয়ে অনুমোদন নেয়, আবার সেই নকশা দেখিয়েই মানুষকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে। কিন্তু নির্মাণ শেষে দেখা যায় সেই খোলা জায়গা হয় সংকুচিত, নয়তো সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে বলে রয়েছে অহরহ অভিযোগ। ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগে যেখানে বাসিন্দাদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা থাকা আবশ্যক, সেখানে বহু এলাকায় এমন একটি নিরাপদ স্থানও নেই। অনেক ওয়ার্ডে তো মাঠ নামেই কিছুই নেই।
এদিকে আমাদের শহরে উঠে যাচ্ছে সুউচ্চ ভবন; কিন্তু তাদের সামনে রয়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে সরু রাস্তা। অর্থাৎ ঘনবসতি, উচ্চ ভবন, দুর্যোগ-ঝুঁকি সবকিছুই বাড়ছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া। এভাবে মূল পরিকল্পনা অমান্য করে তৈরি হওয়া এই ঘনকরণ শুধুই বিশৃঙ্খলা নয়, জননিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। বেসরকারি প্রকল্পের আবাসন নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা অনুসারে হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বেসরকারি প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই পরিকল্পনা মানদণ্ড ঠিকভাবে মানে না। একটি এলাকায় কতটি খেলার মাঠ থাকা দরকার, কতটুকু খোলা জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক, নাগরিক সুবিধা কী পরিমাণ থাকতে হবে, এসব মৌলিক বিষয়ই বহু ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থাকে। গেটেড কমিউনিটি বা বেসরকারি আবাসিক এলাকাগুলো মাস্টারপ্ল্যানে বড় খোলা জায়গা দেখিয়ে অনুমোদন নেয় এবং সেই নকশা দেখিয়েই মানুষকে ফ্ল্যাট, প্লট কিনতে প্রলুব্ধ করে। কিন্তু নির্মাণ শেষে দেখা যায় সেই খোলা জায়গার অনেকটাই আর থাকে না। সহজ কথায়, পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল থাকে না। ফলে ভূমিকম্প বা যে কোনো দুর্যোগে বা প্রয়োজনে এলাকার মানুষ দাঁড়ানোর মতো নিরাপদ খোলা জায়গা থাকে অপর্যাপ্ত, অনেক এলাকায় তো মাঠ বা খোলা জায়গাই নেই। অন্যদিকে সুউচ্চ ভবন গড়ে উঠছে, কিন্তু তার সামনে রাস্তাগুলো রয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণই। অর্থাৎ অবকাঠামোর সক্ষমতা না বাড়িয়েই ভবন ঘনত্ব বেড়ে যাচ্ছে, আর এ অমিলই ভবিষ্যৎ ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ডিএমডিপি) থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে তার নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। ডিএমডিপিতে যেসব জলাশয়, জলাভূমি ও বনভূমিকে সংরক্ষণযোগ্য অঞ্চল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলোতেও ৯০-এর দশকের শেষ দিক থেকে অব্যাহতভাবে নগরায়ণ হয়েছে বিশেষত সরকারি ও বেসরকারি হাউজিং প্রকল্পের মাধ্যমে। ডিএমডিপি প্রণয়ন হয় ১৯৯৫ সালে, ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণীত হয় ২০১০ সালে এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালে সংশোধিত হয়। সংরক্ষিত অঞ্চলগুলো রক্ষার ক্ষেত্রে ড্যাপ কতটা আন্তরিক ছিল, তা সময়ই প্রকাশ করবে। অথচ ১৯৯৫ সালের ডিএমডিপিতেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল কোন কোন এলাকা রক্ষা করতে হবে। বাস্তবে দেখা যায় সরকারি থেকে বেসরকারি, অধিকাংশ আবাসিক প্রকল্পই জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে।
ডিএমডিপিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল কোন অঞ্চল ঢাকা মহানগরের প্লাবনভূমি, জলাভূমি এবং কোথায় ভবিষ্যতে নগরায়ণ হওয়া উচিত। অনেক এলাকা সংরক্ষণের জন্য নির্দেশিত ছিল এবং বলা হয়েছিল উঁচু ও উপযুক্ত জায়গায় নগরায়ণ করতে হবে। কিন্তু আমরা ডিএমডিপি অনুসরণ না করে শহরকে সব জায়গায় সম্প্রসারণ করেছি, জলাশয় ও জলাভূমি ভরাট করে। আধুনিক ঢাকার একটি বড় অংশই এ ধরনের ভরাটকৃত এলাকায় গড়ে উঠেছে। যতই আমরা এসব নির্মাণকে নিরাপদ করার চেষ্টা করি, তবুও লিকুইফেকশনসহ নানাবিধ ভঙ্গুরতার কারণে এই অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
এ ছাড়া, এই এলাকাগুলোতে জনঘনত্ব অনেক বেশি। গবেষণা বলে, এ ধরনের এলাকায় ৫-৬ তলার বেশি ভবন নির্মাণ করা অনুচিত। তবু, ঢাকার জলাভূমি ভরাট করে তৈরি আবাসিক এলাকায় মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ আকাশচুম্বী ভবনের মাঝে বাস করছে। এখানে প্রোপার সেটব্যাক, খোলা জায়গা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ডিএমডিপি যদি উপেক্ষিত না হতো এবং উঁচু ও উপযুক্ত এলাকায় নগরায়ণ হতো, তবে দুর্যোগ ঝুঁকি অনেক কমত। কিন্তু রাষ্ট্র যথাযথ নীতিমালা প্রয়োগে নিশ্চুপ থাকার কারণে আমরা আজ এমন ঝুঁকিপূর্ণ নগরে বাস করছি।
ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করা হয় ২০১০ সালে এবং পরে তা আবার ২০২২ সালে সংশোধিত হয়। ২০১০ সালের পর কিছু গোষ্ঠী মন্ত্রী পর্যায়ের ড্যাপ রিভিউ কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমান ড্যাপে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফ এ আর) বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় তদারকি কার্যকরভাবে করা হয়নি। বিএনবিসি কোডের বাস্তবায়ন বা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার জন্য বিবিআরএর কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও নেই। প্ল্যান মনিটরিং নেই, কোড মনিটরিং নেই ফলে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
এসব অনিয়মের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। কারণ তারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করছেন। খেটে খাওয়া মানুষের অধিকাংশই বাস করছেন এমন জায়গায় যা অপরিকল্পিত, অনুমোদনহীন এবং দুর্বলভাবে নির্মিত। সহজলভ্য আবাসনের নীতিমালার অভাবকে পুঁজি করে ব্যবসা চলছে, যার ফলে তুলনামূলক নিরাপদ আবাসন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বাস করা মানুষ রয়েছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ঢাকার বিকেন্দ্রিকরণ ছাড়া শহরের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। অত্যধিক ঘনত্ব সবসময় ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঘনত্ব কমানো এবং বিকেন্দ্রিকরণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
ড্যাপ রিভিউ এবং সাম্প্রতিক রিভিশনের মাধ্যমে নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো নীতিগত শিথিলতা এসেছে। ওপেন স্পেস বা খোলা জায়গার সর্বনিম্ন মাত্রা কমানো, এফএআর বৃদ্ধি, উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের অভাব, সরু রাস্তার পাশে বহুতল ভবন এসব পরিবর্তন নিরাপদ নগরায়ণের জন্য ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া, জলাশয় ও জলাভূমিতে হাউজিং অনুমোদন দিয়েও রাজউক তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছে না। ফলে সম্প্রসারিত এলাকায় নির্মিত আবাসন নিরাপদও নয় এবং এখানকার কোটি খানেক বাসিন্দাও বিশেষত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। যারা নীতিমালা বানানো ও প্রয়োগের হিস্যা তাদের ঘুম দ্রুত ভাঙুক ঢাকা একটি ধ্বংসস্তূপ হবার আগেই, ঢাকার প্রতিটি মানুষের একই কামনা।
শিক্ষক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও রিসার্চ ফেলো, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)
মন্তব্য করুন