

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকা সত্ত্বেও উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষা নিয়েছেন শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, পিটিআই সদস্য ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর ) সকাল ১০টায় উপজেলার ১১১নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় পরীক্ষা নিয়েছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাই।
১১১নং মতলব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুইটি শিরিন জানান, বছর শেষে এ ক্রান্তিলগ্নে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বিকাশের স্বার্থ বিবেচনা করে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছি।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, স্যাররা কী একটা অবস্থা শুরু করছে। সারা বছর পড়াশোনা করছি এখন ভালো করে পরীক্ষা দিতেও পারি না। পরীক্ষা হবে নাকি হবে না তাও জানি না। কর্মবিরতি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি আমার স্যারদের।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাচ্চা সারা বছর স্কুল আসা যাওয়া করছে। নিজের কষ্ট হলেও পড়াশোনার কোনো বাচ্চাকে কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেইনি। আর এখন শিক্ষকদের আন্দোলনের কারনে বাচ্চা ঠিক পরীক্ষা দিতে পারে না। শিক্ষকদের প্রতি জোরালো আবেদন উনারা যেন কর্মবিরতি বন্ধ করে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই কালবেলাকে বলেন, সহকারী শিক্ষকদের তিনদফা দাবিতে কর্মবিরতি চলছে। আমাদের সরকারের নির্ধারিত শিডিউল কাজ তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন হুমকির মুখে পড়ছে। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমি নিজে বাধ্য হয়ে ১১১নং মতলব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, পিটিআই সদস্য, কমিটি অভিভাবকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা নিয়েছি।
তিনি বলেন, উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, পিটিআই সদস্যরা, অভিভাবকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছে। শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে, সেজন্য পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন