

জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে ভোটের চরিত্র পাল্টাতে হবে। গণভোট হলে ক্ষতিটা কী? রাজনৈতিক দলগুলো একমত হইতে পারছে না। ঝগড়া যখন তারা মিটাইতে না পারে, একটা নিয়ম আছে এটা অতীতেও হয়েছে যে, তোমরা রাজনৈতিক দল আমাদের হাতে ছেড়ে দাও গণভোটে আমরাই ঠিক করে দেব কোনটি ঠিক। গণভোট হওয়াটা জাতির জন্য ভালো লক্ষণ, না হওয়াটা খারাপ।’
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতসহ ৮ দলের বিভাগীয় মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যারা গণভোট হতে দিতে চায়, তারা জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে চায়। আর যারা তা হতে দিতে চায় না, অথবা যারা গণভোটের রেজাল্ট যাতে না আসে, সেই জন্য গণভোট যেদিন হবে, সেই দিনই সংসদ নির্বাচন দাবি করে। গণভোট ঠিক করবে সংসদ নির্বাচনকে। কিন্তু একই দিনে যদি গণভোট হয়, তাহলে গণভোটের এ রায় সংসদ নির্বাচনকে কোনো ভালো কিছু করতে পারবে? আগামীতে গণভোট যখনই হোক, যেভাবেই হোক, আমরা আগে চাই।’
এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামীতে গণভোট যখনই হোক, যেভাবেই হোক আপনারা গণভোটের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ বলবেন।’
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা বিচারের কথা বলেছিলাম, অন্যায় যে করে আর অন্যায় করতে যে সাহায্য করে দুজনের অপরাধ যদি সমান হয়, তাহলে একটিকে যদি কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে তাদের যারা সহযোগিতা করেছে তাদের নিষিদ্ধ করা কী ঠিক হবে না? প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন আশা করছি।
গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ তে কী হয়েছে? বিনা ভোটে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ তে কী হয়েছে? দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে। আর ২০২৪-এর নির্বাচনে কী হয়েছে বলি, কেউ তো ভোট দিতেও যায় নাই কেউ দাঁড়াইতে ও চায়নি। সাংবাদিকরা এখানে আছেন ওনারা রিপোর্ট করেছেন, ভোটকেন্দ্রে মানুষ তো নাই কয়েকটা কুকুর শুয়ে আছে। এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা চলতে দিতে চাই না।’
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট, পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দলের রংপুর বিভাগীয় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর একটার পর থেকে রংপুরের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ মাঠে যোগ দিতে শুরু করেন।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- জামায়াতের নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, সাংগঠনিক সচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সংগঠক মুফতি মাহমুদুল হাসান, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামসহ আট দলের স্থানীয় নেতারা।
মন্তব্য করুন