

পটুয়াখালীর দুমকিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে খোরশেদ কাক্কুর ভাতের হোটেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে হোটেলের রান্নাঘর থেকে আকস্মিকভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
দোকানের মালিক সোহেল হাওলাদার জানান, আগুন মুহূর্তেই পুরো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছার আগেই পুরো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তার সমস্ত মালামাল, আসবাবপত্র ও নগদসহ সর্বস্ব পুড়ে যায়। দোকানটি নিজের সর্বস্ব ও ঋণের টাকায় গড়ে তোলা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগুনে সব শেষ। এখন আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেল। হোটেলটাই ছিল তার একমাত্র ভরসা। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও দোকানটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার ইব্রাহীম হোসেন জানান, চুলার লাকড়ি থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা ধারণা করছি। সকাল ৭টায় আমরা খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই, তবে তার আগেই মোটামুটি পুড়ে যায় সব।
এ ব্যাপারে নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদ সরদার বলেন, সকাল বেলা দোকানের কর্মচারী চুলার ওপরে লাকড়ি গরম করার জন্য দিয়ে অন্য পাশে গেলে তখনই আগুনের উৎপত্তি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস আসার পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সহায়তায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এ ঘটনায় এই ব্যবসায়ীর অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। তিনি একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গেলেন এ ঘটনায়। তার এমন পরিস্থিতিতে সব ব্যবসায়ীদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুন