রাজবাড়ীর পাংশায় এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে নকল ও স্মার্টফোন পাওয়ায় ১৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আইডিয়াল গার্লস কলেজ কেন্দ্রের (বিএমটি শাখা) পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বরত দুজন শিক্ষককে (কক্ষ পরিদর্শক) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, আইডিয়াল গার্লস কলেজ কেন্দ্রের বিএমটি শাখার ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে ১০ জনের কাছ থেকে নকল ও একজনের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন পাওয়া যায়। ২০৪ নম্বর কক্ষ থেকে একজনের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন পাওয়া যায়। ২০৫ কক্ষ থেকে দুজনের কাছ থেকে নকল নম্বর পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী নিজেই পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে এসব নকল ও স্মার্ট ফোন পায়।
বহিষ্কার ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে কালুখালী সরকারি কলেজের ছয়জন, কসবামাজাইল আমজাদ হোসেন কলেজের ছয়জন, ও মাঝবাড়ী জাহানার বেগম কলেজের দুজন রয়েছেন।
বিএমটি শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমার জেনারেল শাখা পরিদর্শন করে বিএমটি শাখায় আসি। এখানে আসার পর ইউএনও পরীক্ষার্থীদের বডি চেকাপ করে নকল ও মোবাইল পাওয়া যায়। যাদের কাছে মোবাইল ও নকল পাওয়া গেছে তাদেরকে বহিষ্কার করার কথা বলে এবং আমি তাদেরকে বহিষ্কার করি। মোট ১৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় এবং পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বে থাকা দুজন শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন, আইডিয়াল গার্লস কলেজের প্রভাষক তাসলিমা খানম ও কলিমহর জহুরুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগার স্বপন কুমার মন্ডল।
পরীক্ষার হল সুপার লিটন কুমার বিশ্বাস বলেন, আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। এই কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী ২৪৭ জন। আজ পরীক্ষর্থীরা যখন প্রবেশ করে তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। ঠিকমতো হয়তো তাদের চেক করা হয়নি।
প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষক কলিমহর জহুরুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগার স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, পরীক্ষার আগে সবাইকে চেক করে প্রবেশ করানো হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পরে তাদের কাছে নকল ও মোবাইল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেক পরিক্ষার্থী শৌচাগারে গেছে, সেখান থেকে তারা এগুলো সংগ্রহ করতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে নকল ও মোবাইল ফোন পাই। পরে আরও একজনের কাছে নকল পাওয়া গেছে। তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন