

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় জেলায় গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘর থেকে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৮ শতাংশ ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
এ ছাড়া বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সকাল রোদের ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা ।
অপরদিকে এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সদরের ভ্যান চালক জানান, এ কনকনে শীতে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। এতে আমাদের মতো খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।
পাথর শ্রমিক মিজানুর রহমান জানান, সকালে ঠান্ডা পানিতে পাথর তুলতে ভীষণ কষ্ট হয়। পরিবারের কথা ভেবেই এ ঠান্ডার মাঝেও মহানন্দা নদীতে পাথর তুলতে হয়। কী আর করার আছে?
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৮ শতাংশ ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন