নাটোরের নলডাঙ্গায় ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার কথা বলে নাসিম উদ্দিন (১১) নামের এক কিশোরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার হলুদঘর গ্রাম থেকে ওই কিশোরকে অটোভ্যানে উঠিয়ে অপরহণ করা হয়। ওইদিন রাতে নলডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন অপহরণের শিকার কিশোরের দাদা আবুল কালাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২২) ও হলুদঘর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে জিয়াদ আলী (২২)।
অপহরণের শিকার কিশোর নাসিম উদ্দিন উপজেলার হলুদঘর গ্রামের প্রবাসী আনিছুর রহমানের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার বিকেলে উপজেলার হলুদঘর গ্রামের কিশোর নাসিমকে ফুটবল খেলা দেখানোর লোভ দেখিয়ে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের জিহাদ ও সোনাপাতিল গ্রামের মনিরুল ইসলাম। পরে নাসিমের কাছ থেকে দাদা আবুল কালামের মোবাইল নম্বর নিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইসঙ্গে বিকাশে টাকা না পাঠালে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়। এ কথা শুনে দাদা আবুল কালাম নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় তাদের আটকে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনা অপহরণকারী জানতে পেরে কিশোর নাসিমকে ছেড়ে দেয়। এদিকে অপহরণের শিকার কিশোর থানায় হাজির হয়ে ঘটনা খুলে বলে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপহরণের নাটক সাজিয়ে নাসিমের পরিবারের থেকে মুক্তিপণের এক লাখ টাকা আদায়ের উদ্দ্যেশ ছিল। এ ঘটনায় কিশোর নাসিমের সমর্থন ছিল।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, এ ঘটনায় অপহরণের শিকার নাসিমের দাদা বাদী হয়ে মনিরুল ও জিহাদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ও অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার নাটোর আদালতে পাঠানো হয়।
তবে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ দাবি কিনা তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন