নওগাঁয় নিয়ামতপুরে বরেন্দ্র অঞ্চলের মেঠোপথের দুপাশে সারি সারি তালগাছ। প্রায় তিন কিলোমিটারের এ পথ বর্তমানে পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতিতে শোভাবর্ধনের পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজেও তালগাছগুলো ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া সড়কের সৌন্দর্য উপভোগে আয়োজন করা হয় তাল পিঠার মেলা।
উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নে ঘুঘুডাঙ্গা তালসড়কে প্রতি বছরই ঐতিহ্যবাহী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এই পিঠার মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক সংগঠন ও ব্যক্তিরা বাহারি তাল পিঠা নিয়ে মেলায় অংশ নেবেন।
জানা গেছে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই জমে ওঠে এই মেলা। উৎসব চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাতে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে যোগ দেয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংগীত শিল্পীরা।
এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা বয়সী মানুষ। মেলায় বাহারি রঙের তাল পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি প্রিয়জনদের জন্য নিয়ে যায় দর্শনার্থীরা। এবার এই মেলায় অংশ নেবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মেলায় হরেক রকমের তাল পিঠার পসরা সজিয়ে বসবেন বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা দোকানিরা।
এ বছর ফুলঝুরি, জামাই পিঠা, খেজুর পিঠা, তাল জিলাপি, তাল কেক, তালক্ষীর, মুইঠা পিঠা, গড়গড়া, তাল রুটি, কান মুচুরি, তাল বড়া, তাল খির, হৃদয়হরণ, পাকান, তাল কেক, পাটিসাপটা, পাখির বাসা, তাল কফিসহ প্রায় ৩০ রকমের পসরা সাজানো হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রাম বাংলার পিঠাপুলি। গ্রামীণ সংস্কৃতিই হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির প্রধান জায়গা। নতুন প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন প্রজাতির গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী তাল পিঠার সঙ্গে পরিচিত করে দিতেই এমন আয়োজন।
মন্তব্য করুন