পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় নামজারিতে ঘুসের নির্দেশনা দেওয়ার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া সেই এসিল্যান্ড ফের আলোচনায়। এবার তার বিরুদ্ধে নিজ অফিসের সম্প্রসারিত ভবনের টিন ও লোহার মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মিস্ত্রি মো. ইলিয়াস হোসেন শেখ টিন ও লোহার মালামাল ক্রয় করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। যদিও এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সম্প্রসারিত ভবনের সংস্কার করার জন্য গত ৫ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ভবনসহ ৪টি ভবন সংস্কারের জন্য মোট সাড়ে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এসিল্যান্ড সেই ভবনটি সংস্কার শুরু করেন। তবে সেই ভবনের ব্যবহৃত টিন ও লোহার যেসব এ্যাঙ্গেল ছিল তা সংস্কার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
ওই ভবন সংস্কারের কাজের দায়িত্বে থাকা মিস্ত্রি মো. ইলিয়াস হোসেন শেখ বলেন, ভবন সংস্কারের মজুরি বাবদ এসিল্যান্ড আমাদের কাছে ভবনের পুরাতন ১০ ভান টিন ও ৬০০ কেজি লোহার এ্যাঙ্গেল দিয়ে দেন। আমি তা বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা পেয়েছি। তবে সংস্কার বাবদ আমাদের মজুরি হয়েছিল ৭৮ হাজার টাকা।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব দাস বলেন, বিধি মোতাবেক সরকারি কোনো মালামাল এসিল্যান্ড একা বিক্রি করতে পারেন না। ওই মালামাল জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির বিধান রয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমন ৮ জুন নাজিরপুরে যোগাদান করেন। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এসিল্যান্ড তহশিলদারদের সঙ্গে মিউটেশন বাবদ ঘুসের টাকা নেওয়ার বিষয় নির্ধারণ ও তার থেকে তাকে দেওয়া নিয়ে একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়।
মন্তব্য করুন