টাঙ্গাইলে মাছ চাষিদের কপালে হতাশার ভাঁজ। টানা বৃষ্টিতে ৩৬৭টি পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষিদের। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন মাছের খামারিরা। অপরদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৎস্য অফিসের সহযোগিতা আশা করছেন তারা।
টাঙ্গাইল মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩৬৭ পুকুর তলিয়ে ৩১৮.৮৫ বড় মাছ ও ৮২ লাখ পোনা মাছ ভেসে যায়। যার মূল্য ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০টি, মির্জাপুর ৫০টি, নাগরপুর ৪৫টি, সখীপুর ১৬৭টি ও ঘাটাইলে ৫৫টি পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে যায়।
মৎস্য চাষি শাফলু বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে পুকুরের পাড় তলিয়ে মাছ বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। পুকুরের মাছ এখন বড় বড় হয়েছে। চারটি পুকুরের মাছ বিক্রি করার সময় হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এখন হতাশার মধ্যে পড়েছি। এই পুকুরের বাবদ সাত থেকে আট লাখ টাকার মতো ব্যাংক ঋণে আছি। এই ঋণ পরিশোধ করব কেমনে, চোখে অন্ধকার দেখছি। এই ক্ষতি পুষিয়ে তোলার জন্য মৎস্য কর্মকতারা যদি সহযোগিতা করতেন, তাহলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারতাম।
সখীপুর উপজেলার ইউসুফ হায়দার ও মন্টু সিকদার বলেন, পুকুরের মাছ চাষ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। এ পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই প্রথম হঠাৎ করে বৃষ্টির পানি এসে পুকুর তলিয়ে ক্ষতির মুখ দেখছি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব কিনা জানা নাই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ পর্যন্ত মৎস্য অফিস কাউকে কোনো উপকার করেছে বলে আমার জানা নাই। তারপরও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৎ্যে অফিসের সহযোগিতা আশা করছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, টানা বৃষ্টির পানির ঢলে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, পুকুর ও জমিতে পানি ঢুকে ৩৬৭টি পুকুরের মাছ ভেসে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
মাছ চাষিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দ্রুত আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। মাছ চাষি যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তারা যদি ব্যাংক ঋণের জন্য সহযোগিতা চায় আমরা দ্রুত তা করার চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন