আওয়ামী লীগ নেতা নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্য ‘টেক ব্যাক’ করে অন্ধকারে যাওয়া! তারা দেশকে অন্ধকারে নিতে চায়। আর শেখ হাসিনা বলেন, ‘লুক ফরোয়াড বাংলাদেশ’ ২০৪১ এ দেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ!
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা এসব কথা বলেন।
নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘বেগম জিয়া ১৯৯৩ সালে বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তির সুপার হাইওয়ে সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়নি! অথচ সে সময় আমাদের দেশকে বিনামূল্যে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল! পরবর্তীতে মিলিয়ন ডলার খরচ করে সাবমেরিন সুপার হাইওয়েতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ! মির্জা ফখরুলও একইভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎতের বিরোধিতা করে বলেছেন ইউরেনিয়াম হচ্ছে কেমিক্যাল।’
স্যাংশন তত্ত্বাবধায়ক থোরাই, শেখ হাসিনার কর্মী কী এসবে ডরাই? এ প্রতিপাদ্য নিয়ে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রদানের আহ্বান জানিয়ে রোববার এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে তেঁতুলিয়া, আটোয়ারি উপজেলা ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
জনসভায় অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ। এ মাঠে কত জনসভা দেখেছি হিসাব নেই। এ জনসভা অনন্য এক জনসভা।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘পঞ্চগড়ে অন্য রাজনৈতিক জনসভার চেয়ে এটা আলাদা হয়েছে কেননা আওয়ামী লীগ ছাড়াও পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষক, কৃতি খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, তরুণ শিক্ষার্থী, হাজারো নারী, বিভিন্ন শ্রমিক, কৃষক এ সমাবেশে অংশ নিয়েছে।’
চিনিকল এলাকার বাসিন্দা চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবুল বাশার বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মুক্তা একজন ভালো মানুষ সেই সঙ্গে ভালো নেতাও। স্বাধীনতা-পরবর্তী এই প্রথম কেউ পঞ্চগড়ে নৌকার তৃণমূলের সমর্থক ও কর্মীদের চাঙ্গা ও উজ্জীবিত করতে পেরেছেন। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন নাইমুজ্জামান মুক্তা।’
নাইমুজ্জামান মুক্তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেভাবে গ্রামগঞ্জে, হাট-বাজারে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন, নৌকার প্রচার করছেন, উন্নয়নের ক্যাম্পেইন করছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিপদে পাশে থেকেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। তার মতো এমন ব্যক্তি যদি পঞ্চগড়-১ এর সংসদ সদস্য হন তবে তা হবে পঞ্চগড়বাসীর গর্বের বিষয়। আমি একজন সমাজকর্মী হিসেবে এমনটাই বিশ্বাস ও আস্থা রাখি।’
আওয়ামী লীগ ছাড়াও পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষক, কৃতি খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, তরুণ শিক্ষার্থী, নারী, বিভিন্ন শ্রমিক, কৃষকসহ এই জনসভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন