কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণচেষ্টা, তিনজনকে গণপিটুনি

ফরিদপুর সদরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিতে আসা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত।
ফরিদপুর সদরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিতে আসা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত।

ফরিদপুর শহরের কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এসে চালকসহ তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে মাইক্রোবাসেও আগুন দেওয়া হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্ব পাশে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল পৌনে ১০টার দিকে চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসছিল। পথিমধ্যে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন এসে তাদের গতিরোধ করেন। পরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

তবে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী এলাকার বিধান পোদ্দার (২৮) পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে আটক দুজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে পিটুনি দেওয়ার সময় কে বা কারা মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফরিদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নেভায়।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন বিধান পোদ্দার। তবে এ ব্যাপারে ওই কিশোরী তার অভিভাবক কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কিছু জানায়নি। আজ সুযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তি কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেন।’

এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আবদুল গফফার।

আটক আসামিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশান গোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন (৫০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর(৫২)। এ ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ সুপার মো. শাহাজাহান জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় জনতা অপহরণের চেষ্টাকালে দুই অপহরণকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। অপর মূল আসামিকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরীক্ষার প্রশ্নে— ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, অতঃপর...

‘জুলাই ঘোষণাপত্র কারও বাপের সম্পত্তি না’

জোতার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেল

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ

ইসরায়েলকে আরও কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি ইরানের

রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল নিহত

রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ছিলেন জীবনঘনিষ্ঠ কবি : শিক্ষা উপদেষ্টা 

বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ চায় গণঅধিকার পরিষদ : শাকিল

সবুজ অর্থায়নের কৌশলগত বিশ্লেষণ / বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ

সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পিএস গ্রেপ্তার

১০

জুলাই সনদ নিয়ে ছাত্রনেতাদের আক্ষেপ

১১

পুলিশ প্রশাসন সংস্কারে সব ছাত্র-সংগঠনের আন্দোলন এক ব্যানারে

১২

তুচ্ছ ঘটনায় এভাবেও তিনজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়?

১৩

যে কুখ্যাত কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছিল খামেনিকে

১৪

নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর গুলি চালাল ইরানের বাহিনী

১৫

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের অনুমোদন

১৬

গণঅভ্যুত্থানের মতো সংসদেও আমাদের বিজয় হবে : নাহিদ ইসলাম 

১৭

আটক ৫২ জন জীবিত না মৃত, আইআরজিসির লুকোচুরি

১৮

সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারালেন সংবাদ পাঠিকা

১৯

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আগামীকাল 

২০
X