নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভিডিও বার্তায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যা করেছেন মারজান আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবার বাড়ির বসতঘরের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দেন মারজান আক্তার। তিনি উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছেরের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত মারজানের বাবা তার কক্ষের দরজা খুলে মেয়েকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আবু নাছের অভিযোগ করে বলেন, মারজানের শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। সে চার দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ফাঁস দেওয়ার আগে আমার মেয়ে তার মোবাইল ফোনের এক ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর জন্য স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়িকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেছেন। ভিডিও বার্তাটি পুলিশের কাছে দিয়েছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের আলোকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন